এর চেয়ে ভালো শুরু আর বোধহয় সম্ভব হয় না। ক্রিকেটের জন্মভূমিতে বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২১ রানে হারিয়ে মিশন শুরু করলো মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। সাকিবের রেকর্ডময় ম্যাচে দলীয় সর্বোচ্চ রানের পর জয় দিয়ে বিশ্বকাপের অভিযানে নামলো বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে লন্ডনের ওভালে বাঘের গর্জন শোনালো বাংলাদেশের ওরা ১১জন। বাংলাদেশের ইতিহাস সর্বোচ্চ ৩৩০ রানের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শেষ হয় ৩০৯ রানে।
লন্ডনের কেনিংটন ওভাল যেন গতকাল ছিল এক টুকরো মিরপুর। বাংলাদেশ, বাংলাদেশ গর্জনে মেতেছিল পুরো মাঠ। সাকিব-মুশফিকদের উৎসােেহর কোন কমতি ছিল না। এমন ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে না পারলে একটা অপরাধই হতো বাংলাদেশ দলের জন্য। তবে সাকিবের রেকর্ডের পর রেকর্ড যেন জয়টা আরও সহজ করে দিয়েছিল। আর শুরুতে রান বিলিয়ে দেয়া সাইফউদ্দীন তো শেষ দিকে দলের ত্রাণকর্তারুপে আবির্ভুত হয়ে শিকার করেন ফেলুকাওয়া ও ভ্যানডার ডুসেনকে।
৩৩১ রানের লক্ষ্যে মাঠে নেমে চাপে পড়েছিল প্রোটিয়ারা। দুই ওপেনারের শুরুটা ভালো হলেও বোলারদের একটার পর একটা ব্রেক থ্রু সহজ জয় এনে দিয়েছে। যদিও মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল হাত ছাড়া হচ্ছে ম্যাচটি। কিন্তু সেটা হতে দেননি মুস্তাফিজ ও সাইফউদ্দীন। দুজনে মিলে তুলে নিয়েছেন ৫টি উইকেট। বাকি কাজ সেরেছেন সাকিব ও মিরাজ। দুজন একটি করে উইকেট নিলেও রানরেট কমানোর দিক থেকে শীর্ষেই ছিলেন। কিন্তু উইকেটে জমে যাওয়া মার্করামকে (৪৫) সাকিব এবং ডু প্লেসিসকে (৬২) তুলে নেন মিরাজ। যা ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। আর ভয় ধরানো ডুমিনিকে শিকার করে টাইগার শিবিরে স্বস্তি এনে দেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ।
এর আগে ওভালে ৩৩০ রানের মঞ্চটা তৈরি করেছে সাকিব-মুশফিকের রেকর্ড জুটি। ৭৫ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে ১৪২ রান যোগ করে দুজনে। বিশ্বকাপে যেটি বাংলাদেশের রেকর্ড জুটি। ইমরান তাহিরের বলে ৭৫ রানে ফিরেছেন সাকিব। ৭৮ রান করেছেন মুশফিক। তিন অঙ্কে নিয়ে যেতে পারেননি নিজেকে। তবে শেষ দিকে মোসাদ্দেক ও মাহমুদউল্লাহ’র কার্যকরী জুটিতে ভর করেই রেকর্ড সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।